স্পর্শ
ছুঁয়ে আছি
তোমাকে
যেন শেষ পাতাটিকে
ছুঁয়ে আছে গাছের কঙ্কাল
কতটুকু আর
ছোঁয়া হল
যেন অন্ধকার ছুঁয়ে আছে
মোমের ব্যস্ত পতাকা
দেখা
কখনো দেখিনি
সোনালী ডানা কিরকম
শুধু ব্রহ্মাণ্ডের মুঠোয়
আমি ততদূর বেঁচে আছি
যতদূর মৃত্যুকে ধোঁকা দিতে পারি
কখনো দেখিনি
সোনালী ডানা কিরকম
শুধু দুঃখের গানের কাছে
ঈশ্বর কিভাবে আত্মসমর্পণ ফেলে যায়
সেটুকু দেখেছি
রুটি
রুটি আমাকে চাঁদ
দেয়
চাঁদ- চাঁদ তো এক
কান্না
কান্না আসলে শাশ্বত চিঠি
কখনো কালো হয়না
আমার রক্তই
আমার ঝোল
কাচের হরিণ এত মায়া জানে
রুটি ডুবিয়ে নিচ্ছি
অহংকার
কোথায় আছি
জলচাপা যন্ত্রণা খুব দূর নয়
কোথায় আছি
সদরখোলা হাসি খুব দূর নয়
এই মাটির তৈরি
মুখ নিয়ে কি করি এখন
প্রাণ নিয়ে পতঙ্গের অহংকারটুকু থাক
বাড়ি
কত আলোর ফুটকি
কিন্তু ফ্ল্যাটের ভেতরে যে কারা
জানিনা
বাড়িটিকে আমি চিনিনা
বাড়িটিও আমায় চেনে না
এত আলোর ফুটকি
অথচ ফ্ল্যাটের ভেতরে যে কারা
জানি না
শুধু জানালাগুলোকে
বাড়ির নিজস্ব চোখ মনে হয়
হিপ্নোটিজম
কেন যে হিপনোটাইজ করলে
নিজের হাড় কাটি
আর কেটেকুটে অ্যাশট্রে বানাই
ক-টা বাজে
ঘড়িটা দ্যাখোতো
বেশ তো হিপনোটাইজ করলে
মুঠোয় ধরে রাখি বজ্র
আর সিগারেটে কামড় বসাই
No comments:
Post a Comment