আমি ও ঈশ্বর
জন্মান্ধ উন্মাদের
স্বপ্নগুণ আক্রমণে দিন-রাতের ব্যবধান অবান্তর। নিরন্তর কল্পরূপে
ময়ূরগুলির আকৃতি অবিকল সমুদ্র আর পাহাড়ের মেঘ মানে পিঁপড়ের ছেড়ে যাওয়া দানার আঠা।
গর্ভিণী শ্রাবণের বাস্তব তাকে একটা বিসর্জনের কাঠামো হতে লালায়িত করে, ধুয়ে গিয়ে ভেসে যেতে। আলোর তীব্র সন্ত্রাসবাদ
তার নশ্বরতায় গন্ডোলা আর ডিঙির মেরুকরনে ব্যর্থ। ভিখারী শিশুগুলো জরি খুঁজতে তাই বুকের উপর চাপে, ডুবে যায়না। ফজরের সুর কানে এলে তার তলপেটে ব্যথা হয়,
সে বুঝে যায় সময়টাকে পৃথিবীতে সকাল বলে।
ঝন শব্দ করে ভাঙা কাচের টুকরো গোড়ালিতে গিঁথে যাওয়ার যন্ত্রনা মানে এখন তারাদের
নিচের মহাগহ্বরে ডানা ছেঁড়া পরীদের রক্তপাতের অন্ধকার। একদিন ঠাহর না পেয়ে
উল্টোদিকের ফুটপাথে বসে ছিলো, সেদিন
চৈতি খ্যাপানো রোদ। শিমূলের গন্ধ অনুসরণ করে উঠতে যেতেই 'উহ্' একট
অস্ফুট ধ্বনি। পাশের কারোর পায়ে আঘাত হয়ত। 'ক্ষমা করে দেবেন' বলে সে এগুতে যেতেই কী মনে করে ফিরে এসে নাম জানতে
গিয়ে নিজেকে কুরুক্ষেত্রে আবিষ্কার করে। আশ্চর্য সব হলুদ ফুলেদের বৃষ্টি উড়ে আসে প্রজাপতির
কান্না হয়ে। 'হা ঈশ্বর , কতো ডেকেছি, এতো কাছে ছিলে? শক্তির এই হুতাশন নিজেকে না চিনে পুড়িয়েছে বিস্ফার,
শেষ উত্তাপের চুমু তোমার পায়ে আঁকতে
গিয়ে জেনেছে তুমিও পুরুষ বারবার। 'সেই
তুমি চিনতে আমায়? 'কর্পূর ধোঁয়া
আলগা হতে হতে প্রতিধ্বনি ভেসে আসে...
দুই অন্ধ, দুই ভিখারী, দুই উন্মাদ, কে জানে কে কাকে কোথায় খুঁজে ফেরে, কে কাকে কখন পায়...
সনয়, কাল ও স্থানের মোচড়ে সোনালি সিদ্ধহস্ত। শেষ দুলাইন অবশ করে দিল।
ReplyDeleteখুব ভালো লেখা ও প্রাসঙ্গিক দিদি।শুভেচ্ছা।।
ReplyDeleteঅসম্ভব ভালো লেখা সোনালি।
ReplyDeleteপাঠক হিসেবে আমি অতিশয় কাঁচা।
ReplyDeleteতবু মনে হয়েছে, আপাত ভাবে পড়তে ভালো লাগছে যদিও,কিন্তু যে স্পার্ক থেকে এই লেখাটি জন্ম নিয়েছে, সেই স্পার্কটি কবির অন্দরে আরও যেন পরিপাক হয়ে বেরিয়ে এলে ভালো হতো।
প্রথমে সেই লিবিডো,তারপরে আক্ষেপানু্রাগ। চমকে উঠলাম।অসাধারণ !
ReplyDeleteলিবিডিনাল লেখা আমার সত্যি খুব ভালো লাগে।
ReplyDeleteহুইপক্র্যাপ্ট এন্ডিং। গদ্যেে পদ্যবন্ধন - পরাবাস্তবতা - লিবিডোর দুর্দান্ত বিস্তার
ReplyDeleteএইসব লেখা সংকলিত হোক
অবশ্যই বাংলা কবিতায় অন্যরকম ধারা