আগস্টে ফিরে দেখা সিরিজ
হলুদরঙ—একটি খরগোশ হঠাৎ হারিয়ে গেলো তুমুল
বায়ুতাড়িত সন্ধ্যের ভীরে। পেরিয়ে টকফলের বাগান।
বর্ধিষ্ণু ছাতিম গাছ। হাওয়াভরা কাঠ পিঠে ভর কোরে
ভাগ্যের চাকা ঠেলে নিয়ে যায় ভবঘুরে আয়ু। আনাড়ি
বৃক্ষের গভীরতা মাপতে গিয়ে সেদিন যে মেয়েটি স্বয়ং
পাখি হয়ে গেলো। আবডালে তার প্রস্থান-কথা ভাবতে
ভাবতে ফুরিয়ে আসে আগস্টের দিনপঞ্জি। আন্দামান
পাহাড় বেয়ে নেমে পড়ে রকমারি চিৎকার—শরৎকাল
জুড়ে লেগে থাকে তুলোরাশি মেঘ। ভাঙা কাচের স্বর।
নিয়ত ভাঙে অসম দ্বৈরথ—পাথরকুচির পাতা।
২
অনড় বায়ুতটে ঘুরছে তড়বড়ে ঘোড়ার নিশ্বাস। ছলাৎ
২
অনড় বায়ুতটে ঘুরছে তড়বড়ে ঘোড়ার নিশ্বাস। ছলাৎ
ছলাৎ জল—শীতল পুকুরঘাট। ভাঙছে
ম্রিয়মাণ ঢেউ।
ফড়িঙ। অনাবাদি পরিত্যক্ত একটি বন্ধ্যা কুয়ো। ছেড়ে
নেমে যাচ্ছে শ্বাশত বিরান অন্ধকার। একা ফিরে যেতে
যেতে থেমে যাওয়া আলপথের মতন—হিজলের
ডালে
ছায়া ফেলছে প্রতিয়মান—ঠুনকো ফানুশ। গাঢ়
অস্বচ্ছ
কুয়াশায়। নদীর পাশ দিয়ে মাথা নুয়ে চলে গিয়েছে যে
মসৃণ বলিরেখা। তার বুকে খুইয়ে যায় সময়ের জরায়ু।
৩
অগাধ বেনোজলে পালঙ্ক চাঁদ। ডুবে গেলে পর—
কদাচিৎ। নিজেকে কাকতাড়ুয়া হিশেবে ভাবতে শিখি।
৪
‘দেয়ালঘড়ির ওপিঠে পিঙ্গল ধানভাঙার আড়ৎ—বুভুক্ষ
‘দেয়ালঘড়ির ওপিঠে পিঙ্গল ধানভাঙার আড়ৎ—বুভুক্ষ
ভবিষ্যত্—চুরমার হচ্ছে অবিরাম।
কচ্ছপের আয়ু চিড়ে
ঢুকে পড়ছে খোদিত গাঙচিল। শিথিল অনুচ্চ গিরিখাদ।
অনায়াসে উৎরে যাচ্ছে প্রবাহমান বিমুগ্ধ বিকেল। হরিৎ
অস্ফুট বনোভাষা।’- বোলতে বোলতে।
সমগ্র দৃশ্যপটের
আড়ালে হঠাৎ, ঢলে পড়ে রাবার বন। বিষণ্ণ স্বপ্রণোদিত
শৈশববেলা জুড়ে। একটি প্রজাপতি খনন কোরে চলছে
চাণক্য ঝিনুক। হিমেল কবরের ভেতর বিচ্চ্যুরিত আলো।
ধবল শালবনে বিস্মৃত হয় উজ্জ্বল রৌদ্র ঝলমলে।
No comments:
Post a Comment