
আত্মহননের তিন সপ্তাহ আগে নথিভুক্ত
ভার্জিনিয়া উলফের ডায়েরির অন্তিম দাখিলার ধ্যানে
হেনরি
জেমসের সৌজন্যে,নিজেকে দেওয়া সে নারীর অন্তিম চেতাবনি ছিলো,
"নিরীক্ষণে
নামো সবকিছুর,
উদযাপনে
এসো আগামী যুগের,
পাহারা
দাও আকাঙ্ক্ষাদের,
অবধান
করো নিজস্ব নির্বেদ,
যার
মাধ্যমে তা ব্যবহার্য হয়ে ওঠে"
শুধুমাত্র
অতিরিক্ত দেখেই তো আমরা আবিষ্কার করে ফেলতে পারিনা
জীবনের
যা কিছু নিহিত নির্জনতা,
যা
মেলে দূরদৃষ্টিহীন নূন্যতায়,
আত্মার
এক সুড়ঙ্গ দৃষ্টিতে।
কিছু
সময়,
শব্দের
উপর শব্দের অনিবার্য ভর কারোর অবলম্বন হয়ে থাকে,
নাগাড়ে
সপ্তাহের পর সপ্তাহব্যাপী,
আর
তারপর অন্তর্হিত হয়ে যায়।
"আমি
কোন আত্মদর্শনের অভিসন্ধিতে নেই"
(সে
লিখেছিলো,'অভিসন্ধি করিনি')
আর,কে
জানে,
হয়তো
ততক্ষণে তাঁর কল্পনায় চলে আসছিলো,
বিলম্বিত
প্রত্যাগমনে তাঁর গোড়ালি,কটিদেশ আর ভ্রূতে সমুদ্রের উচ্ছসিত সাধুবাদের ভঙ্গি,
এক
নিবিড় মতৈক্যে।
প্লবতার
জয়ধ্বনি,
নামহীনতাই
তো সেই নোঙর যা আমাদের কাছি দিয়ে বেঁধে রাখে
নিজেদের
নিকৃষ্টতম সত্ত্বাদের সঙ্গে।
"আমি
জিদ ধরে থাকি
এই
সময়টুকু থেকে সবচেয়ে বেশি ফায়দা তুলতে"
সে
লিখছে .....
"স্বরূপ
চিন্তার শেষ প্রান্তে আমি দেখছি,
অজস্র
রংকে উড্ডীয়মান দেখতে দেখতে আমি যেভাবে তলিয়ে যাবো,
তাকে
স্খলন বা পতন কিছুই বলে না"
রবার্ট জে লেভি
No comments:
Post a Comment